Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
হাত ও পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায় কি? আজকে নখকুনির এই অসহ্য ব্যথা বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং নখের কুনি দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হোল, নখকুনি কি? নখকুনি হওয়ার কারণ কি? নখকুনি দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষধ সমূহ কি?
Table of Contents
বর্ষাকালে অথবা যেকোনো সময় হাতের কিংবা পায়ের আঙ্গুলের নখের কোনা বেড়ে যাওয়া বা লাল বর্ণ ধারণ করে ব্যথা করাকে নখকুনি বলে। এই রোগের উপদ্রব বর্ষা কালে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মাঝে এই নখকুনি সমস্যা বেশি দেখা যায়। Also Read: NU LLB Final Exam Routine 2023
মানুষের নখকুনি হওয়ার সাধারণ কারণ সমূহ হোল, অপরিষ্কার থাকা বা পায়ের নখের যত্ন না নিয়ে অপরিষ্কার রাখা। আমরা যখন বাহিরে চলাচল করি তখন আমাদের নখের পাশে ময়লা আবর্জনা ঢুকে পরে।
বাড়ি গিয়ে পা পরিষ্কার করার সময় এই ময়লা গুলোর দিকে আমরা মোটেও নজর দেই না। আর এইভাবে অল্প অল্প করে কাদা মাটি অথবা ময়লা জমতে থাকে এবং নখের কোনা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে থাকে। আর ঠিক এইভাবেই তৈরি হয় নখকুনি সমস্যা।
এছাড়া টাইট জুতা পরা কিংবা টাইট মোজা পড়া, অথবা কোন কারনে পায়ে আঘাত লাগলে, কিংবা পায়ের উপর যদি কোন কারণে ভারী বস্তু কিছু পড়ে তাহলে নখের কুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নখের কুনি দূর করার ঔষধ সমূহের নাম অনেকেরই অজানা। আবার বর্তমান বাজারের ফার্মেসি গুলোতে গেলেও আপনি আবার বিভিন্ন রকম নখকুনি সমস্যার সমাধানের ঔষধ গুলো দেখতে পাবেন। তবে নখকুনি সমস্যার জন্য সব ওষুধই কি কার্যকরী হয়ে থাকে!
নখের কুনি দূর করার এলোপ্যাথিক যে ঔষধ গুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং ডারমাসিম। বর্তমান সময়ে নখের কুনি দূর করার ঔষধ গুলো রয়েছে তার মধ্যে এই দুটি ঔষধ সব থেকে বেশি কার্যকর।
অতীতে আমি নিজেও নখের কুনি নিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহানোর পর এই দুটি ঔষধ ব্যবহার করে, এখন অনেক ভালো আছি। নিম্নে নখকুনি দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষধ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড: এটি হোল ,একটি পানি জাতীয় তরল। যেকোন স্থানের বা নখের কোনায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য এই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। আপনাদের আশেপাশের যেকোন ফার্মেসি দোকানে গিয়ে আপনি যদি বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দিতে, তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে সাদা রং এর একটি বোতল দিবে। যেটার গায়ে লেখা থাকবে হাইপার-অক্সাইড।
ডারমাসিম: ডারমাসিম হোল একটি জেল জাতীয় পদার্থ। এটি আপনার নখ-কুনিতে ব্যবহার করার জন্য পারফেক্ট সলিউশন হতে পারে। ডার্মাসিমের কাজ হোল আপনার নখকুনির ব্যথা কমানো। নখকুনি সমস্যার জন্য এই ডারমাসিম জেলটি খুব কার্যকর।
নখকুনির এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এলোপ্যাথিকের এই দুটি ঔষধ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা ডারমাসিম এর কার্যকারিতার কোন জুরি নেই।
এবার, তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা ডার্মাসিম কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
এই ঔষধ দুটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার আক্রান্ত কুনি যুক্ত নখটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর আপনার যে হাত বা পায়ে নখকুনি রয়েছে সেই হাত অথবা পা টি সুন্দর করে মুছে ফেলুন।
তারপর হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এর বোতল থেকে সিরিঞ্জ অথবা টিপ ব্যবহার করে আপনার নখকুনির স্থানে কয়েকটি ফোঁটা তরল দিন।
এখন আপনি দেখতে পারবেন, আপনার নখকুনির গোড়া থেকে সাদা ফেনার মত ফুটছে। এভাবে দিনে কয়েকবার করে কয়েক দিন এই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড টি ব্যবহার করেন।
এটা ব্যবহারের ফলে, আপনার নখকুনি থেকে ময়লা গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারপর আপনি ডার্মাসিম ব্যবহার করুন।
দুই থেকে তিনবার হাইড্রোজেন পাওয়ার অক্সাইড ব্যবহার করা হয়ে গেলে, নখকুনির জায়গাটা পরিষ্কার করে ডার্মাসিম নামক জেল টি নখকুনির স্থানে এক ফোঁটা করে দিয়ে দিন।
প্রতিদিন যদি এই নখকুনির ঔষধ দুটি সকাল বিকেল দুই বেলা ব্যবহার করেন তাহলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার হাত বা পায়ের নখকুনি দূর হয়ে যাবে।
নখকুনি সমস্যাটা পুরোপুরি ভাবে একভারের ঠিক হবার নয়, তাই প্রতিদিন কিংবা একদিন পর একদিন এই নখকুনি দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষধ দুটি ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যাবহারের ফলে আপনি নখকুনি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে আপনারা নখকুনি দূর করার নানা উপায় নিয়ে অনেক ভিডিও দেখতে পারবেন। নখকুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে ভিডিও গুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভিডিওগুলোয় কাজ নাও করতে পারে।
এখানে নখকুনির যে ব্যথা , তা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে:
গরম পানির সেক: নখকুনির ব্যথা দূর করার জন্য , আপনি ঘরে বসে গরম পানির সেক দিতে পারেন। এতে করে আপনার নখকুনি কমবে না কিন্তু কিছু সময়ের জন্য ব্যথা থেকে উপশম পেতে পারেন। কিছুটা পানি নিয়ে তার ভিতরে সামান্য কিছু রান্না করার লবণ দিয়ে গরম করে, তার মধ্যে যে পায়ে কুনি হয়েছে তা ডুবিয়ে রাখুন। এর ফলে নখকুনির ব্যথা বা যন্ত্রণা থেকে কিছুটা উপশম পাবে।
গুল ও সরিষার তেল: নখকুনির সমস্যা দূর করার জন্য আরেকটি ঘরোয়া নিয়ম হচ্ছে গুল ও সরিষার তেল একসঙ্গে করে মেখে দলা পাকিয়ে নখকুনিতে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া। এটা ব্যবহারের ফলে কিছুক্ষনের মধ্যে নখকুনির ভিতরে কিছুটা ব্যাথা করতে পারে। তবে এটি ব্যবহারের ফলে নখকুনি কিছুটা কমার সম্ভাবনা সহ ব্যাথা অনেকটা কমে যায়।
প্রিয় পাঠক, নখের কুনি দূর করার এই এলোপ্যাথিক ঔষধটা কিন্তু আসলেই অনেক কার্যকর হয়ে থাকে। তবে এটি ব্যবহার করার ফলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। তাই নখকুনি দূর করার ঔষধটি ব্যবহার করার পরে কেমন কাজ করে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো তথ্য পেতে আমাদের ্সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ,
Do you need any premium course: Bohubrihi Laravel for Back-End Web Development Course
Tag:
নখের কুনি দূর করার ক্রিম,নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়,নখের কুনি দূর করার ঔষধ এর নাম,পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ,পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধ,নখকুনি ভালো করার উপায়,পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়,নখকুনি মলম,পায়ের নখের কুনি ঔষধ,নখের কুনি দূর করার ঔষধ,নখের কুনি দূর করার ক্রিম,পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ,নখ কুনি ভালো করার উপায়,নখকুনির মলম,নখকুনি মলম,পায়ের আঙ্গুলের নখের সমস্যা,পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায়,
নখ কুনি ঔষধ,নখকুনি ভালো করার উপায়,নখের কুনি ঔষধ,নখের কুনি,,নখ কুনি,পায়ের নখের কোনায় ব্যাথা,,নখকুনি,নখকুনি ঔষধ,নখকুনির ঔষধ,নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়,নখের কোনায় পুজ,নখের কোনায় ব্যাথা,নখের কুনি দূর করার উপায়,পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধ,পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান,নখকুনি ঔষধ কি,কুনি নখের চিকিৎসা,নখের কোনা ফুলে যাওয়া,নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়,itpagla,itpagla.com,নখকুনি এলোপ্যাথিক ঔষধ itpagla,